একা একা কিছু ভালো লাগে না যে আমার
মনে হয় পৃথিবীটা এক অন্ধকার ঘর।
এখানে সাথি থাকে না, সঙ্গি থাকে না
লাগে না যে ভালো
খুঁজে দাও সাথি আমায়
এনে দাও আলো।
সাথি ছাড়া থাকতে হবে আমি জানি
আলো ছাড়া অন্ধকারে
রব চিরদিনি।
একা একা অন্ধকারে
বসে থাকি আমি
কেউ এসে বলে নাতো
অন্ধকারে কেন থাকো তুমি
কারণ- পৃথিবীটা এক অন্ধকার ঘর
এখানে সব আপন হয়ে যায় পর।
ভালোবেসে আমি সবাইকে টেনে আনি কাছে
সবাই আমায় পর ভেবে ঠেলে দেয় পাছে
হায়রে- এই পৃথিবীকে
যতই ভালোবাসো না
অন্ধকার পৃথিবী কোনদিন আলোকিত হবে না
সময় থাকতে সবাই
কররে মন শক্ত
এই পৃথিবীতে কাউকে করোনা ভক্ত
পৃথিবীটা আমাদের সঙ্গে করে খেলা
তার পিছে পরে তোমরা
সময়কে করোনা অবহেলা ।
Wednesday, September 24, 2008
অন্ধকার পৃথিবী
যখন সন্ধ্যা নামে
র্কমক্লান্ত দিবসের অবসানে এ সময় আসে
রাত্রে অবসর যাপনের জন্য এ সময় আসে,
দিনের আলোর মৃত্যু হয়
সূর্য্য আর গগণ সীমায় অবস্থান করবে না
হয়ে যাবে তখনি অন্ধকার
সে সময়টা “যখন সন্ধ্যা নামে”।
সূয্যের মুখ রক্তিম হচ্ছে
আকাশ রঙের খেলা খেলছে
তারগাছের উচুঁ পাতাগুলো সূর্য্যের রশ্মিতে জ্বলছে
রাত্রির অন্ধকার নেমে আসছে
জগতের র্কমকোলাহল সতব্ধতা হয়েছে
সেই সময়টা “যখন সন্ধ্যা নামে”।
লাল আকাশের রক্ত ধীরে ধীরে বদলে যায়
মেঘের মাথায় সূর্য্য তার শেষ রং মাখিয়ে দেয়
মেঘের ফাঁকে ফাঁকে নীল আকাশ উঁকি দেয়
ধীরে ধীরে লালের রেখা মিলিয়ে যায়
তার পর এক এক করে তারা গুলো ফুঁটে ওঠে
সেই সময়টা “যখন সন্ধ্যা নামে”।
শহরে আমরা এ অন্ধকার খুঁজে পাই না
আসার আগে বৈদ্যুতিক আলো জ্বলে ওঠে
গ্রামের তারাগুলোর দিকে তাকালে
মনে হয় মিথ্যা শহরের এই আলোকস্বজ্জা
এটা যে কত মধুর তা বোঝা বড় দায়
সেই সময়টা “যখন সন্ধ্যা নামে” ।
রত্নের ঘাটতি
মা অসুস্থ । মাকে দেখতে দেশের বাড়িতে রওনা হলাম। বাড়িতে যেতে যেতে তা প্রায় সন্ধ্যা। কিন্তু প্রচন্ড বৃষ্টি। ঘর থেকে বের হওয়ার কোন পথ নাই। মা আমাকে দেখে অনেকটা সুস্থ হয়ে গেলো। পরের দিন সকালে কানে ভেসে এল, আমাদের গ্রামে একজন গণ্যমান্য ব্যক্তি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে আছে। তার নাম জাহাঙ্গীর চৌধুরী। ডাক্তার তাকে মাত্র পাঁচদিনের সময় দিয়েছে। শুনে মনটা কেঁদে উঠল। ভালো মানুষেরা এ জগতে বেশিদিন থাকতে পারেনা। কেন যে তারা অকালে চলে যায় তা বুঝতে পারি না। কিছুদিন আগে তার স্ত্রী ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। পরের দিন বিকালে শুনলাম জাহাঙ্গীর চৌধুরী মারা গেছেন। তারা চার ভাই পাচঁ বোন। বাবা অনেক আগেই মারা গেছেন। মা বেচেঁ আছেন। চার ভাইয়ের মধ্যে তিন ভাই মারা গেছেন এবং পাচঁ বোনের মধ্যে দুই বোন মারা গেছেন। তারা প্রত্যেকেই এক একটি দেশের রত্ন। গতকাল যিনি মারা গেলেন, তিনি ছিলেন ভাইদের মধ্যে মেজ। তিনি ছিলেন একজন বিশিষ্ঠ ব্যবসায়ী। তার একটি মাত্র ছেলে। ছেলেটি চিটাগাং ভার্সিটিতে পড়ে। পৃথিবীর সবচেয়ে আপন যে মা-বাবা, তারা তাকে আজ ছেড়ে চলে গেছে। পৃথিবীর সবচেয়ে অসহায় আজ এই ছেলেটি। কয়েক বছর আগে জাহাঙ্গীর চৌধুরীর বড় ভাই এবং ছোট ভাই মারা গেছে। প্রথমে যিনি মারা গেছেন, তার নাম আলমগীর চৌধুরী। তিনি অজান্তে খুলনা জেলার কুখ্যাত সন্ত্রাস (আইনানুযায়ী যার ফাঁসি হয়েছিল) সেই এরশাদ শিকদারের সাথে ব্যবসা করতেন। বিশাল ব্যবসায়ী ছিলেন আলমগীর চৌধুরী। যখন জনতে পারলেন, এরশাদ শিকদার একজন সন্ত্রাস। তখন তিনি এরশাদ শিকদারের সাথে ব্যবসা করতে অমত করলে, তাকে খুন করে ফেলে এরশাদ শিকদার, তার খামারের মাগুর মাছ দিয়ে খাইয়ে দেয়। আর এভাবেই শুরু হয় সন্তান হারা মায়ের বুক খালি হওয়া।
তার বড় ছেলে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছেন। তার নাম ছিল তৈয়মুর। তিনি ছিলেন একজন পুলিশের এস.পি। সে যখন চাকরীরত ছিলেন, তখন তার কাছে নাকি তার ছোট ভাইয়ের হত্যার মামলার কেস হাতে এসে পরে। তখনও তিনি জানতেন না যে এই ফাইলটি তার ছোট ভাইয়ের হত্যার ফাইল। সে যাতে এই কেসটি হাতে না নেয় এ জন্য তাকে দুই লক্ষ টাকা ঘুষ দিতে চাইলে সে অমত করে। তারপর তাকে খাগড়াছড়ি পাঠিয়ে দেয়ার হুমকি দেয়। এমনকি তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। তখন সে নিজের জীবনের ভয়ে টাকা নিতে রাজি হয়। তখন হঠাৎ তাকে সিলেট বদলী করে দেয়। যখন সে সিলেট যাওয়ার প্রস্তুতি নেয়, তখন তারই থানার এক হাবিলদার তাকে জানায় - “ স্যার আপনি যে ফাইলটার জন্য টাকা নিয়েছেন? দয়া করে ফাইলটা খুলে দেখেন, কার ফাইল”। তখন এস.পি. সাহেব ফাইলটা খুলে দেখলেন যে তার ছোট ভাইয়ের হত্যার ফাইল। সে চুপ থাকলেন। কোন কথা না বলে সিলেট রওনা দিলেন। গাড়ির মধ্যে ভাবতে ভাবতে র্হাট এ্যাটাক করলেন। তাকে বাড়িতে নিয়ে আসেন। তার পর দুইদিন পর তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পরেন। তাদের পাচঁবোনের মধ্যে দুই বোন মারা গেছেন। তারাও উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত ছিলেন। এখন বর্তমানে এক ভাই ও তিন বোন বেচেঁ আছেন। তিন বোনের মধ্যে এক বোন আমাদের মাগুরা জেলার শ্রীপুর থানার‘ শ্রীপুর ডিগ্রী কলেজের ’ রাষ্ট্রবিজ্ঞানের প্রফেসর। আর ছোট ভাইটা বর্তমানে বাংলাদেশের একজন সচিব। তার পুরো ভাল নামটা আমার জানা নেই। তবে তার ডাক নাম মিঠু। বাকি দুই বোন স্বামীর সংসারে সুখেই আছে। কিন্তু মা কেমন আছে? হতভাগী মা রত্নের জন্ম দিয়েই গেলো, কিন্তু বুকে আগলে ধরে রাখতে পারলো না। সন্তানহারা যন্ত্রনা বুকে নিয়ে আজও বেঁচে আছে। তার চোখের পানি শুকিয়ে গেছে। একটা মা কত কাদঁতে পারে? একটা মা কত কষ্ট সহ্য করতে পারে? সে এখন শুধু মৃত্যুর অপেক্ষায় আছে। জানিনা তার ভাগ্যে এই শেষ চার রত্নের হাতে মাটি আছে কিনা। যেহেতু সে আগের রত্ন গুলো ধরে রাখতে পারেনি, সেহেতু এই শেষ রত্নগুলো কি ধরে রাখতে পারবে? ...
তার বড় ছেলে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছেন। তার নাম ছিল তৈয়মুর। তিনি ছিলেন একজন পুলিশের এস.পি। সে যখন চাকরীরত ছিলেন, তখন তার কাছে নাকি তার ছোট ভাইয়ের হত্যার মামলার কেস হাতে এসে পরে। তখনও তিনি জানতেন না যে এই ফাইলটি তার ছোট ভাইয়ের হত্যার ফাইল। সে যাতে এই কেসটি হাতে না নেয় এ জন্য তাকে দুই লক্ষ টাকা ঘুষ দিতে চাইলে সে অমত করে। তারপর তাকে খাগড়াছড়ি পাঠিয়ে দেয়ার হুমকি দেয়। এমনকি তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। তখন সে নিজের জীবনের ভয়ে টাকা নিতে রাজি হয়। তখন হঠাৎ তাকে সিলেট বদলী করে দেয়। যখন সে সিলেট যাওয়ার প্রস্তুতি নেয়, তখন তারই থানার এক হাবিলদার তাকে জানায় - “ স্যার আপনি যে ফাইলটার জন্য টাকা নিয়েছেন? দয়া করে ফাইলটা খুলে দেখেন, কার ফাইল”। তখন এস.পি. সাহেব ফাইলটা খুলে দেখলেন যে তার ছোট ভাইয়ের হত্যার ফাইল। সে চুপ থাকলেন। কোন কথা না বলে সিলেট রওনা দিলেন। গাড়ির মধ্যে ভাবতে ভাবতে র্হাট এ্যাটাক করলেন। তাকে বাড়িতে নিয়ে আসেন। তার পর দুইদিন পর তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পরেন। তাদের পাচঁবোনের মধ্যে দুই বোন মারা গেছেন। তারাও উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত ছিলেন। এখন বর্তমানে এক ভাই ও তিন বোন বেচেঁ আছেন। তিন বোনের মধ্যে এক বোন আমাদের মাগুরা জেলার শ্রীপুর থানার‘ শ্রীপুর ডিগ্রী কলেজের ’ রাষ্ট্রবিজ্ঞানের প্রফেসর। আর ছোট ভাইটা বর্তমানে বাংলাদেশের একজন সচিব। তার পুরো ভাল নামটা আমার জানা নেই। তবে তার ডাক নাম মিঠু। বাকি দুই বোন স্বামীর সংসারে সুখেই আছে। কিন্তু মা কেমন আছে? হতভাগী মা রত্নের জন্ম দিয়েই গেলো, কিন্তু বুকে আগলে ধরে রাখতে পারলো না। সন্তানহারা যন্ত্রনা বুকে নিয়ে আজও বেঁচে আছে। তার চোখের পানি শুকিয়ে গেছে। একটা মা কত কাদঁতে পারে? একটা মা কত কষ্ট সহ্য করতে পারে? সে এখন শুধু মৃত্যুর অপেক্ষায় আছে। জানিনা তার ভাগ্যে এই শেষ চার রত্নের হাতে মাটি আছে কিনা। যেহেতু সে আগের রত্ন গুলো ধরে রাখতে পারেনি, সেহেতু এই শেষ রত্নগুলো কি ধরে রাখতে পারবে? ...
Subscribe to:
Posts (Atom)