Wednesday, October 22, 2008

বাঙালী

মাথা উঁচু করে বলছি মোরা আজ বাঙালী
স্বাধীনভাবে রাজপথে দেখ চলছি
হৃদয় খুলে কোন বাঁধা নেই মুখে
গানে গানে আহা এই দেশকে
বলছি ভালোবাসি।
এ দেশের বাঙালীদের
দেহটা যদিও ভিন্ন
মনটা তাদের একই মরন
ছাড়া হবেনা ছিন্ন,
একই খাবার ভাত আর মাছ
একই পোশাক একই বসবাস
সুখ তাদের রাশি রাশি ।
আমরা বাংলাদেশী
আমরা বাঙালী,
এ দেশের চারিপাশে
সবুজে শ্যামলে ঘেরা
ভ্রমনবাসিরা এ দেশে এসে
হয়ে যায় আত্মহারা
বাঙালীদের রক্ত দিয়ে
সোনার বাংলা আজ তৈরি করে
ফুটিঁয়েছি মুখে হাসি ।
আমরা বাংলাদেশী
আমরা বাঙালী......

হয়রানি

২০ শে ডিসেম্বর ২০০৭ ইং তারিখে ঈদুল আজহা উপলক্ষে দেশের বাড়িতে রওনা দিলাম। আমি,ভাইয়া ও আমার মামা। গাবতলি গিয়ে দেখি প্রচুর লোকের ভীড়। অনেক কষ্টে ভাইয়া তিনটা টিকেট কাটল। ফেরী পারাপারের কোন গাড়ি পাওয়া গেল না। বাধ্য হয়েই লঞ্চ পারাপারে গাড়ি নিতে হল। তারপরেও বেশ ভালই লাগছিল। বাড়িতে যাচ্ছি একথা মনে পড়তেই আনন্দে হৃদয়টা নেঁচে উঠছিল বার বার। একসময় গাড়ি হঠাৎ থেমে গেলো। কি হয়েছে? কি হয়েছে? বাস থেকে নামলাম। নেমে মামাকে জিজ্ঞাসা করলাম। মামা বলল “প্রচন্ড ট্রাফিক জ্যাম একদম আরিচা ঘাট পর্যন্ত”। আমি মামাকে আবার জিজ্ঞাসা করলাম “মামা এই স্থানটির নাম কি?”মামা বলল, “মানিকগঞ্জ" । তার মানে মানিকগঞ্জ থেকে শুরু করে একটানা আরিচা ঘাট পর্যন্ত জ্যাম। এখন কি করি?”
অবশ্য মনে মনে ভালই লাগছিল। একপাশে ঘর-বাড়ি,গাছ-পালা এক কথায় গ্রাম, আর এক পাশে ধূ ধূ করা মাঠ। আর সেই মাঠে হলুদ কার্পেট বিছিয়ে দেয়া হয়েছে। হলুদ সরিষার ফুলে মাঠ ভরেগেছে। একটানা চার ঘন্টা পথ ধরে ধীরে ধীরে এগোতে লাগলাম আরিচার দিকে। এক সময় জ্যাম ছাড়ল। আরিচায় পৌঁছে গেলাম। লঞ্চ ঘাঁটে পৌঁছে দেখি শুধু মানুষ আর মানুষ। ভাইয়াকে বললাম “ভাইয়া কিভাবে যাব? এ দেখি হাঁটা পর্যন্ত অসম্ভব। তারপরেও দেখি লঞ্চের অভাব। যে পরিমান লোক, তার উপযুক্ত পর্যাপ্ত পরিমান লঞ্চ নেই। নেই লঞ্চ, নেই নদী পথের অন্য কোন যানবাহন, নেই উপযুক্ত নিয়ম শৃঙ্খলা। আছে শুধু মানুষ আর মানুষ। ভাইয়া বলল “ট্রলারের ব্যবস্থা করতে হবে। নয়ত লঞ্চে ঢুকলে মানুষের চাপেই মারা যাব।”
কথাটা প্রায় ৯০% সত্যি হচ্ছিলো। অল্পের জন্য বেঁচে গেছি। যাই হোক বললাম যে টার্মিনালে ঢুকবোনা। কিন্তু কিভাবে যে র্টামিনালে ঢুকলাম তা আমরা নিজেরা ও জানি না। মামা বলল, “ঢুকে যখন পড়েছি বেরোনো যাবে না”। একথা বলতে না বলতেই পিছন থেকে ঢেউ এর মত একটা ধাক্কা এল। চলে গেলাম অনেক দূরে। অনেকক্ষণ পর একটা লঞ্চ আসল। চোখের পলকে লঞ্চটা চলেও গেল। তার মানে লঞ্চ আসতে দেরি যেতে দেরি নাই। হঠাৎ চিৎকার শুনলাম। হালকা করে যা দেখলাম, তাতে বুঝলাম একজন মহিলা ধাক্কা খেয়ে পড়ে গেছে। তার পরনে ছিল শাড়ি। মধ্যবয়স্ক সেই মহিলা মানুষের পায়ের নিচে আহাজারী করছে কিন্তু উঠতে পারছে না। সেই সময়টার এমন অবস্থা ছিল যে, মানুষ তাকে হাত ধরে উঠাবে কি? তার গায়ের উপর দিয়ে সবাই লঞ্চে উঠছে। অনেকক্ষণ পর পর একটি লঞ্চ আসছে। আর মানুষ যে কিভাবে উঠছে তা শুধুমাএ স্বচোক্ষে দেখানো ছাড়া লিখে বোঝানো যাবে না। আমার হাতে ছিল দুটি ব্যাগ, মামার হাতে ছিল একটি ব্যাগ, ভাইয়ার হাতেও একটি ব্যাগ। অবশ্য তাদের ব্যাগ গুলো ছিল বড়। আর আমার হাতের ব্যাগ ছিল ছোট। হঠাৎ একটা লঞ্চ এল, মানুষ উঠছে। হঠাৎ চিৎকার শুনতে পেলাম। মায়ের কোল থেকে বাচ্চা ছিটকে গিয়ে পানিতে পড়ে গেলো। লঞ্চ ছেড়ে দিয়েছে। মা চিৎকার করে উঠলো। অমনি দুটো লোক পানিতে ঝাপ দিয়ে পড়ল। বাচ্চাটাকে সঙ্গে সঙ্গে উঠালো। চোখ ফেরাতে না ফেরাতেই দেখলাম আর একজন মহিলা পড়ে গেলো পানিতে। অবশ্য তাকেও উঠানো হয়েছে। কিন্তু এই যে হয়রানি এটা থেকে রক্ষা দেবে কে? সামান্য কিছু নিয়ম শৃঙ্খলার অভাবে হাজারো মানুষের প্রাণ ভেসে যাচ্ছে যাওয়ার একমাত্র পন্থা এই আরিচা ঘাঁট। যাইহোক আরিচা ঘাটে দেখা হয়েছিল আমার এক চাচাতো ভাইয়ের সাথে। ধরিয়ে দিলাম ওর হাতে আর একটা ব্যাগ। ও আমাদের অনেক সাহায্য করেছিল। এল পিছন থেকে আর ও একটি ধাক্কা। আমরা মোট চার জন ছিলাম কিন্তু ধাক্কা খেয়ে চারজন চারদিকে ছিটকে পড়লাম। আমি ভাইয়ার হাত ধরেছিলাম। এখন আর কাউকে দেখিনা। মনে মনে আল্লাহকে ডাকছিলাম। আমি চিৎকার দিলাম। ভয়ে কেঁদেও ফেললাম।
হঠাৎ একটা ছেলে আমার হাত চেপে ধরে বলল, “ভয় নেই তোমার, আল্লাহ ভরসা”। বুকে একটু সাহস এল। খেলাম আর একটা ধাক্কা। চলে গেলাম লঞ্চের মাথায়। যাই হোক কথায় বলে না? আমি লঞ্চের মাথায় উঠলাম কি নদীতে পড়ে যাচ্ছিলাম। আর অমনি সেই ছেলেটি আমার হাত চেপে ধরলো। ছেলেটি হাত না ধরলে আমি নির্ঘাত লঞ্চের নিচে চলে যেতাম। নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আমাকে টেনে উপরে উঠালো। আমি নতুন জীবন ফিরে পেলাম। সত্যি বলতে কি যখন পড়ে যাচ্ছিলাম বা মানুষের চাপের মধ্যে পড়ে গিয়েছিলাম তখন ভাইয়া মামার কার ও কথা মনে ছিলনা। শুধু নিজের জীবন বাঁচানোর জন্য যুদ্ধ শুরু করলাম। যাইহোক যখন লঞ্চে উঠে এক পাশে ছেলেটা আমাকে দাঁড় করিয়ে দিলো ঠিক তখনই আমার ভাইয়ার কথা মামার কথা মনে পড়ে গেলো। এখন চিন্তা করছি ভাইয়া কোথায়, মামা কোথায়? কাঁদতে লাগলাম। ছেলেটি আমাকে সান্তনা দিতে লাগল। জিজ্ঞাসা করল, “তোমার সাথে আর কে আছে? ” আমি বললাম,“আমার ভাইয়া আর মামা। ছেলেটি বলল,তারা হয়ত ভালভাবেই আছে। আমি কাঁদছি আর বলছি তারা ভাল থাকবে কিভাবে? তারা তো চাপেই মরে যাবে। আমি কাঁপছি। ছেলেটির সাথে ছিল আরো দুজন। জানিনা তারা সর্ম্পকে আত্নীয় কিনা। ওদের মধ্যে একজন আমাকে পানি দিল। বলল “চিন্তা করবেন না,পানি পান করুন। ব্যবস্থা একটা হবেই। ছেলেটা বলল তুমি ভয় পাচ্ছ কেন? আমি বললাম, “আমি তো সাঁতার জানি না ”।
ছেলেটা বলল, “আমরা ও জানিনা। তুমি পড়ে গেলে কি আমরা বসে থাকতাম। আবার বলল আমরা তো আছি ভয় কিসের? তোমার ভাইয়ার সাথে দেখা না হলে, আমরা তোমাকে পৌঁছে দিয়ে আসব, তোমার বাড়ি কোথায়?” আমি বললাম “মাগুরাচসে”
ছেলেটি বলল, “সমস্যা নেই আমি বাড়ি ঐদিকেই। তারপরেও সে আর একটি স্থানের নাম নাম বলছিল। হয়ত তার থানার নাম অথবা গ্রামের নাম। কিন্তু ভাগ্য খারাপ আমার তা মনে নেই। কিছুক্ষণ পরে মামাকে দূর থেকে দেখলাম। ঐ একই লঞ্চে মামা। মামা আমাকে খুঁজছে। আমি দেখতে পাচ্ছি কিন্তু ডাকতে পারছি না। ছেলেটা আমাকে বলল, “তোমার ব্যাগ দুটো আমরা দেখছি, “তুমি তোমার মামাকে খুঁজে নিয়ে আস”। আমি ভীড়ের মধ্যে ঠেলে আস্তে আস্তে গেলাম। মামা আমাকে দেখলো আর বলল,“মা ভয় নেই তোর। তুই ওখানেই থাক, আমি রিপনকে ফোন দিচ্ছি কিন্তু পাচ্ছি না।”
রিপন আমার ভাইয়ার নাম। আমি তখন আরো ভয় পেয়ে গেলাম। ছেলেটার কাছে ফিরে এলাম। আমাকে জিঞ্জাসা করলো “পেয়েছেন”? আমি বললাম, “পেয়েছি।”
লঞ্চ ঘাঁটে ভিড়ল। ভাবলাম নামতেও মনে হয় অনেক কষ্ট হবে। কিন্তু তা আর হল না। ছেলেটার সাথে ভাল ভাবেই নামলাম। মামার সাথে ছেলেটার পরিচয় করিয়ে দিলাম। পরিচয় আর কি? বললাম উনার উছিলায় আমি মৃত্যুর হাত হতে রক্ষা পেয়েছি। ভীড়ের মধ্য দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে আমাদের গাড়ির কাছে পৌছে গেলাম। কিন্তু আমি কাদঁছি ভাইয়ার জন্য। মামা আমাকে সান্তনা দিল। ছেলেটা মামার কাছ থেকে বিদায় নিল। আমাকে শুধু বলল আসি। আমি মাথা নাড়ালাম। কিছুই বলতে পারলাম না। গাড়িতে উঠলাম। আশেপাশের সিটের সবাই ভাইয়াকে ফোন দিচ্ছে কিন্তু পাচ্ছে না। অনেকক্ষন অপেক্ষা করার পর ভাইয়া আসল। গাড়ি ছেড়ে দিল। চাচাতো ভাইটাকে ও পেলাম। কিন্তু আমার মনের মধ্যে একটাই ভাবনা হচ্ছিল। ছেলেটাকে ভাল করে একটা ধন্যবাদ ও দিতে পারলাম না। নিজের কাছে খুব খারাপ লাগছে। নিজেকে খুব ছোট মনে হচ্ছে। হয়ত বা সে এ ঘটনা ভুলে যেতে পারে কিন্তু আমি ভুলতে পারবনা। তার সাথে হয়ত কখনো দেখা হবেনা। কিন্তু তার ব্যাবহার, তার উপকার মনে থাকবে আমার আজীবন।
এই যে, কিছু নিয়ম-শৃঙ্খলার অভাবে মানুষের জীবন চলে যাওয়া অথবা মানুষের এই যে হয়রানি এ থেকে মুক্তি পাওয়ার কোন উপায় আছে কি? সরকার এত কিছুর সু-ব্যাবস্থার পদক্ষেপ নিয়েছে কিন্তু সাধারন সু-ব্যাবস্থার অভাবে বড় কিছু ধরনের দুর্ঘটনা ঘটছে। মানুষের যাতায়াত ব্যবস্থার দিকে একটু দৃষ্টি দিলে হয়ত সাধারন মানুষ সস্তি পাবে। যেমন নদীপথের যানবাহনের সু-ব্যাবস্থা বিশেষ করে র্টামিনাল গুলোকে আরও প্রসার সুন্দর নিয়মের দ্বারা বেঁধে দিলে এসব হয়রানীর হাত থেকে সাধারন মানুষ বেঁচে যাবে।

অগ্রাধিকার

সময় হয়েছে আজ আমাদের মাথা তুলে দাঁড়াবার
আমরা চাই হৃদয় খুলে মনের কথা বলবার।
আর এর জন্য পেতে হবে
সম নয় অগ্রাধিকার।
বাবারা যদিও পারেন নিষ্ঠুরতা
মায়েরা পারে না,
মায়েরা যা পারেন ত্যাগ করতে
বাবারা তা পারেন না।
একেই বলে নারী
আমরা সবই পারি,
দুঃখের সাথে যুদ্ধ করে
সুখটাকে জয় করি।
নিচ্ছিনা আর অন্যায় মেনে
থাকছি না আর ঘরের কোনে,
সময় হয়েছে চোখ কান খুলে
অন্যায়ের প্রতিবাদ করার।
আর এর জন্য পেতে হবে
সম নয় অগ্রাধিকার ।
--------------------------------------------

ভয়াবহ ঘুর্নিঝড় সিডর

দিনটি ছিল বৃষ্পতিবার। তারিখটি ছিল ১৫ই নভোম্বর ২০০৭ সাল। তার আগের দিন থেকেই আমাদের কানে ভেসে এসেছে ভয়াবহ প্রলয়ংকারী ঘুর্নীঝড় সিডরের সংবাদ। প্রথমদিন আবহাওয়া অধিদপ্তর আমাদের ৪নং সর্তক সংকেত দিয়েছিল এবং সবাইকে কাছাকাছি আশ্রয় কেন্দ্র আশ্রয় নিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু প্রায় দু’ঘন্টা পর ১০নং মহাবিপদ সতর্ক সংকেত দিয়েছিল। অনেকেই এই সর্তক সংকেত শুনে আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছিল। যাদের ভাগ্যে ছিল র্দুভাগ্যের সাথে গড়া, তারাই রয়ে গেলো তাদের বসত বাড়িতে। এক সময় বৃহষ্পতিবার রাতে শুরু হল তুমুল ঘুর্নীঝড় সিডর। যার আঘাত লন্ডভন্ড হয়ে গেলো গোটা বাংলাদেশ। ঝড়ের আঘাতে বাংলাদেশের এমন কিছু জেলা আছে যা শুধুমাত্র তুলার মত উড়তে থাকে। এমন কিছু গ্রাম আছে যার কোন অস্তিত্ত্ব নেই। এমন কোন লোক নোই যার স্বজন হারাইনি। কিছু কিছু পরিবার আছে, যে পরিবারের একজনকে টিকিয়ে রেখেছে কান্নার জন্যে। যার ঘর-বাড়ি, ফসল, আত্মীয়-স্বজন সব চলে গেছে। বাংলাদেশে ৬৪টি জেলার মধ্যে তা প্রায় ২০/২৫ টি জেলার উপর দিয়ে ভয়াবহ সিডর আঘাত হেনেছে। তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আঘাত হেনেছে ১৬টি জেলায়। যার কোন চিহ্ন নেই। কিছু কিছু জেলাগুলো এমন হয়েছে। যা দেখলে কখনোই বুঝা যাবে না যে এখানে মানুষের কোন বসবাস ছিল। দু-একজন যা চোখে পড়ে দেখা যায় তাদের কান্নার ঢল। তাদের খুদার যন্ত্রনা ও স্বজন হারা আর্তনাদ বাংলার আকাশ ছেয়ে গেছে। একটা মানুষের বেচেঁ থাকতে যা কিছু প্রয়োজন, ঘর-বাড়ি, গবাদি পশু, খাদ্য বস্ত্র যোগাযোগ ব্যবস্থা সবকিছু নিয়ে গেছে সিডর। ঘুর্নীঝড় সিডরের আঘাতে কত লোক প্রান হারিয়েছে তা এখনো সঠিক বলা যাবে না। কারন সকল জেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন। কোথাও সঠিক মোবাইল টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা ছিল না। বিদ্যুৎতের খুঁটি উপড়ে গেছে, বিছিন্ন হয়ে গেছে বিদ্যুৎ লাইন। এরই মধ্যে টুকিটাকি সংবাদ জানা গেছে তিনহাজারের বেশি মানুষের প্রান হারিয়েছে। বিধস্ত হয়েছে হাজারো ঘর বাড়ি, যারা প্রান হারিয়েছে হয়ত তারা বেঁচে গেছে। কিন্তু যারা প্রানে বেঁচে আছে তাদের অবস্থা এত খারাপ যে ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না, তাদের বাঁচার কোন পরিস্থিই নেই, নেই কোন ঘর বাড়ি, নেই খাদ্য, বস্ত্র, নেই কোন মুখে একমুঠে ভাত তুলে দেওয়ার মত এজন স্বজন। আছে শুধু চোখের জল। অনেকের সেই জলটুকু শুকিয়ে গেছে। এমন একজন বৃদ্ধ বেঁচে আছেন যার বংশে কেই নেই। শুধুমাত্র উনি বেঁচে আছেন আর আছে উনার বুক ফাটা কান্না হাহাকার আর্তনাদ। ভয়াবহ ঘৃর্নীঝড় সিডর কেড়ে নিয়ে গেছে মানুষের সবকিছু। আর দিয়ে গেছে বাংলাদেশকে না খাওয়ার যন্ত্রনা স্বজন হারা আর্তনাদ, ভিটেমাটিটুকু হারানোর হাহাকার। ফসল নষ্ট হয়েছে তা প্রায় ৮ লাখ ৬৩ হাজার ৭শ। দারিদ্র এই বাংলাদেশ কতটুকু সাহায্য করতে পারবে অসহায় এই মানুষদের সৃষ্টিকর্তা কতটুকু সময়ের মধ্যে ভেঙ্গ চুরমার করে দিল হারিয়ে যাওয়া সাজানো সংসার। বাংলাদেশের লক্ষ লক্ষ মানুষ এখন অসহায়। তাদের সাহায্য করতে এগিয়ে আসুন। তবেই হবে বন্ধুত্ত্বের পরিচয়।

Tuesday, October 21, 2008

মোর বাসনা

বাঙলা আমাদের ঠিকানা
বন্ধু পদ্মা মেঘনা যমুনা
পদ্মা মেঘনার জন্ম কোথায়
তুমি আমি কেউ জানিনা
জানি শুধু একটাই
সে আমাদের সাধনা।
জীবন দিয়ে বাসবভালো
বাঙলা মোদের হ্রদয়ের আলো
সেই আলোতে চলতে চাই
এইতো মোর কামনা।
বাচতে চাই তোমার সুখে
মরতে চাই তোমার বুকে
আকুল করা তোমার গানে
সুর দেয়া মোর বাসনা।

Saturday, October 18, 2008

নির্যাতিত অবলা

প্রথম প্রকাশ


অনেক দিনের একটা ইচ্ছা ছিল নার্সিং র্কোস শেখারচ্ছা পূরন ও হয়েছেআমি ছিলাম নারী জীবন প্রজেক্টের একজন নিয়মিত ছাত্রী এবং বাংলা ব্লগের একজন নিয়মিত লেখিকাসব ছেড়ে চলে এলাম নার্সিং র্কোস শিখতে কুমিল্লার ব্রাম্মনবাড়িয়ায়, একটা অপরিচিত যায়গাপ্রথম প্রথম সমস্যা হচ্ছিএখন একটু দ্বিধাবোধ কেটে গেছেতো যাই হোকআমি যেখানে থাকি এটা একটা হাসপাতালনতুন হাসপাতাল বলে রোগীর সংখ্যা কম দিনে ১০-১২টা রুগী সেআলাদা কোন র্নাস নেইআমরা এখানে শিখি এবং পাশাপাশি র্নাসিং এর দায়িত্ব পালন করিবিভিন্ন ধরনের রুগী আসেতাদে সেবা করিভালই লাগে

কিছু দিন আগে সকালে একটা রুগী এসেছেদৌড়ে গেলাম রুগীটাকে দেখতে প্রয়োজন মত সেবা দেয়াও শুরু করলামরোগীটি ছিল মহিলাপ্রথমবস্থায় বুঝতে পারিনি যে রোগীটির কি হয়েছেকিন্তু রে জানতে পারলাম মহিলাটি স্বামী ও শ্বাশুড়ীর নির্যাতনের স্বীকারতাকে এত পরিমানে মারধর করেছে যার ফলে তার জীবন নিয়ে টানাটানিমহিলাটিকে যথেষ্ট পরিমানে চেষ্টা করলাম সুস্থ রে তুলতেকিন্তু পারলাম না আমাদে ডাক্তার তাকে শহরের বড় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিলেনকিন্তু পাষন্ড স্বামী তা মেনে নিলো নাবলল, আপনারা যা পারেন তাই করেননা পারলে বলেন আমি বাড়ি নিয়ে যাই ডাক্তার বলল, পনার স্ত্রীর অবস্থা খুব খারাপএই মুহুর্তে বাড়ি নিয়ে গেলে কিছু একটা দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে লোকটি বলল,”ঘটুক সমস্যা নাইস্যার কিছু না বলে আরেকটা রুগী দেখতে চলে গেল আমি ও আমার সাথে যারা আছে আমরা রুগীটির কাছে থাকলামআমি রোগীটিকে জিজ্ঞাসা করলাম, আপনার এঅবস্থা কিভাবে হয়েছেরোগীটি কথা বলতে পারছে না, শুধু চোখের পানি ফেলছে আর বলছে আমাকে খুব মেরেছেতার মুখ থেকে কোন কথা বেড়োচ্ছে না অবলা নির্যাতিত নারীদের জীবনে কোন স্বাধীনতা নেই আছে শুধু একটি স্বাধীনতা আর তা হল চোখের জল ফেলাআর কিছু বলতে হল না তাকে আমি বুঝতে পারলাম ইনি একজন স্বামীর নির্যাতনের স্বীকারসান্তনা দেয়ার ভাষা ছিল নাতবু ও যেহেতু সেবিকার পোষাক পড়েছি সেহেতু কিছু না কিছু সান্তনা দিতে তো হবেই তাই সান্তনা দিলামজরুরি বিভাগে রোগীটির স্যালাইন চলছেরুম থেকে হাসপাতালের বারান্দায় এসে দেখি মহিলার সেই পাষন্ড স্বামী দাঁড়িয়ে আছেতাকে জিজ্ঞাসা করলাম আপনার স্ত্রীর সমস্যাটা কি? লোকটি বলল, কি আর সমস্যা, রে পেত্নিতে পাইছে, অয় সারা জীবন আমারে জালাইছেখালি খালি কোন কারণ ছাড়াই অজ্ঞান হইয়া যায় তখন আমার খুব রাগ হচ্ছিআমি তখন নিজেকে ঠিক রাখতে পারিনিবলে ফেললাম এটা কোন কথা? আপনি এখনো পেত্নিতে বিশ্বাস করেননিজেকে সামলে নিয়ে বললাম , এধরনের বাজে কথা রোগীর সামনে বলা ঠিক নাআপনি তার স্বামী, আপনি যদি তাকে সান্তনা না দেন তবে কে দেবে?” আপনি সবসময় তার পাশে থাকবেন এবং স্যার যেটা বলল সেটা করেন, ব্রাক্ষ্মনবাড়িয়া সদ হাসপাতালে নিয়ে যানএই বলে আমি চলে এলাম রিসিপসনের রুমে ঐ যে আগেই বলেছি এটা নতুন হাসপাতাল তাই রিসিপসনের জন্য আলাদা কোন লোক নেইঅবশ্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেযাই হোক আমি রিসিপসনে গিয়ে বসলামওখানে আরো ও মেয়েরা ছিলগিয়ে দেখি মধ্য বয়স্ক একজন পুরুষ ও মহিলা এবং ছোট একটা বাচ্চা ওখানে বসে আছেতারপর জানতে পারলাম যে তারা অসুস্থ মহিলার বাবা এবং মাতারা উভয়েই কাদঁছে আমি ও আমার রুমমেট তাকে সান্তনা দিলাম এবং বললাম, পনার মেয়েকে কি সবসময় এরকম অত্যাচার করে? তিনি বললেন হ সব সময়ই করে, বিয়ার পরেততেই এমন করে তখন আমার রুমমেট জোরে চেঁচিয়ে বলল, আপনারা এর পদক্ষেপ নেন না কেন?” তারা বলল, শুধু মাত্র এই নাতিটার মুখের দিকে তাকাইয়া সহ্য কইরা আছি কাথাটা শুনে একবার চ্ছে হল আরও কিছু বলি কিন্তু চ্ছে থাকলেও উপায় ছিল নাএর মধ্যেই পাষন্ড সেই লোকটি এসে হয়ত বা আমাদে সব কথা শুনে ফেলেছিলতাই তার শ্বাশুড়ীকে ধমক দিয়ে বলল, এই বেটি এহেনে কি? মেয়ে জামাইয়ের কথায় মহিলাটি ভয় পেয়ে তাড়াতাড়ি ওখান থেকে ওঠে চলে গেলোলোকটি আরও অনেক কটু কথা বলল তার শ্বশুর এবং শ্বাশুড়ীকে আমাদে বলার কিছু ছিল নাশুধু পাষন্ড লোকের পাষন্ডতম ব্যবহারগুলো ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে দেখলামঐ এলাকার কিছু মেয়ে আছে আমাদেসাথে নার্সিং শেখেওরা বলল লোকটি নাকি খুব খারাপবড় ছোট মানে না প্রচন্ড বেয়াদপ

৩০-মিনিট সময় যেতে না যেতেই দেখলাম মহিলাটিকে রিক্সায় তুলছে দেখে খুশি হলাম ভাবলাম সদ হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছেকিন্তু ভাগ্য যখন খারাপ হয় তখন ভাগ্যকে ভাল করার কোন রাস্তা থাকে নাকিছুক্ষণ পর জানলাম ওনাকে সদ হাসপাতালে না নিয়ে বাড়িতে নিয়ে গেছেবুঝতে পারলাম মহিলাটির ভাগ্যে শুধু নির্যাতন জুটলো কিন্তু সু-চিকিৎসা জুটলো না একেই কি বলে নারীর অধিকার? এ কেমন অধিকার যার ফলাফল শুধু নির্যাতন অন্যায়, অত্যাচার, অবজ্ঞা আর অবহেলারবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি কথা আমার মনে পড়ে গেল-

অবহেলিত অসহায় নারীদে
বিচারের বানি নিরবে নিভৃতে কাঁদে

একথাটা কি আজ সত্যি হয়ে গেল? নে হচ্ছে তাইএকটা মেয়ে বাবার আদ মায়ের স্নেহ, ভালোবাসা ভুলতে চায় শুধু তার স্বামীর ভালোবাসা পাবার জন্যঅথচ সেই ভালোবাসাই যদি না পায় তবে একটা মেয়ের জীবনে আর কি থাকতে পারে? বাবা, মায়ের ভালোবাসার আঁচল ছেড়ে শ্বশুর, শ্বাশুড়ীর আঁচলে আশ্রয় নেয় চ সেই শ্বশুর শ্বাশুড়ী যদি তাদে ত্রু হয়ে দাঁড়ায়, তবে সেই অসহায় মেয়েটি কোথায় যাবে? র্নিযাতিত অসহায় নারীর আর্তনাদ চিৎকার আকাশে বাতাসে ধ্বনিত হচ্ছে,গাছের পাত ঝড়ে পড়ছে তবুও পাষন্ড স্বামীর মন গলে নাজানিনা মহিলাটি বেঁচে আছে কি না? নাকি পাষন্ডের নির্যাতন সহ্য করছেসরকার নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়েছেতারপরেও নারী নির্যাতন বেড়ে চলেছে দিনের পর দিনঅবলা নারীদে বর্তমান জীবনটা ধাপে ধাপে চলছেপ্রথম ধাপ বাবা মায়ের সংসারে দুঃখে কষ্টে মানুষ হওয়াতার পর বিয়েশ্বশুর বাড়ি যাওয়া শ্বাশুড়ীর ও স্বামীর নির্যাতনের স্বীকার হওয়াঅবশেষে ফলাফল মৃত্যুএটাই কি বর্তমান নারীদের পরিচয়? এর কি কোন প্রতিকার নেই? আমরা নারী এটাই কি আমাদের অপরাধ? না তা কিছুতেই হতে পারে না আমাদের অগ্রধিকার চাইআমরা সুন্দর ভাবে বাচঁতে চাইআমরা ভালোবাসা দিতে চাইভালোবাসা পেতে চাইআমরা স্বাধীনতা চাই এটা আমাদে চাওয়া, এটা আমাদে আকাঙ্খা

Wednesday, October 15, 2008

ঈদ

ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানে খুশিবিশ্বের প্রতিটি মুসলমানের জীবনে ঈদ আসেধনী-গরীব সবার মধ্যে ঈদের আনন্দ জেগে ওঠেঈদের কথা মনে পরতেই মনের মধ্যে আনন্দে জোয়ার এসে যায়ছেলেবেলা থেকেই আমরা জানি ঈদ সবার জন্যঈদ এলে সবার নতুন-নতুন জামা- কাপড় বানানো, মজার মজার খাবার তৈরি করা, বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া ইত্যাদি ইত্যাদিকত আনন্দ, কত মজা, কত উল্লা, কত খুশিতার কোন শেষ নেইঅথচ বর্তমানে এরই মধ্যে কত ব্যতিক্রম! বর্তমানে ঈদ শুধু ধনীদের জন্যধনীরাই একমাত্র ঈদে আনন্দটাকে উপভোগ করতে পারেগরীবদের জন্য শুধুমাত্র নামে ঈদ ঈদের আনন্দ উপভোগ করার ক্ষমতা তাদের নেইবর্তমানে আমাদের সমাজে এমন কিছু পরিবারের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে, যেটা শুধুমাত্র চোখে পরার মত, কিন্তু মুখে বলার মত সাহস, মনমানসিকতা, ইচ্ছা কোনটাই কারও নেই যেমন আমাদের সমাজে এমন কিছু উচ্চবিত্ত পরিবার আছে যা কেবলমাত্র নিজেদের বিলাসিতার জন্য লক্ষ-লক্ষ টাকা খরচ করেঅথচ তার হাতের কাছে, তারই পাশে এমন এক পরিবার আছে, যারা লক্ষ টাকা তো দুরের কথা একশ টাকা খরচ করতে পারেনা এমনও অনেক পরিবার আছে যারা ঈদ উপলক্ষে নিজেদের বিলাসিতার জন্য তো করেই, এমনকি ঘরের আসবাবপত্রও পরিবর্তন করেঘর সাজাতে দামি দামি অপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন ধরনের ফুলের টপ, ফুলদানি ইত্যাদি ইত্যাদি জিনিপত্র কিনে থাকেকিন্তু তারই পাশে বসবাসরত এমন পরিবার আছে যারা পঞ্চাশ টাকা দিয়ে নিজেদের সন্তানের জন্য একটা জামা কিনার ক্ষমতা তাদের নেইকেন এই তফা আমাদের সমাজে? অথচ এই যে তফা , এটাকে আমরা কেবল ফুটিয়ে তুলতে পারি সবার সামনেকিন্তু তফাটাকে ভেঙে ফেলতে পারিনাবর্তমানে দেখা যায় গরীবের এই কষ্টটাকে উপহাস করা হচ্ছেযেমন ঈদ উপলক্ষে টেলিভিশনের বিভিন্ন চ্যানেলে বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠান দিচ্ছে গরীবদের ঈদ নিয়েতারা কিভাবে ঈদ কাটালো সেটা ফুটিয়ে তুলছে ক্যামেরার মাধ্যমে সবার সামনে আবার ক্যামেরার সামনেই গরীবদেরকে সহানুভুতি দেখাচ্ছেযে উপস্থাপক বা উপস্থাপিকা উপস্থাপনা করছে, সে নিজে গরীব বাচ্চাটাকে দেখিয়ে আফসোস করছেঅথচ তার বিবেকে এতটুকু প্রশ্ন জাগেনি যে, তার পরনে হাজার টাকার দামে পোষাকআর যাকে নিয়ে আফসোস করা হচ্ছে সে হয়ত বা খালি গায়ে, না হয়, সে ছেড়া গেঞ্জি পরাকেন? এই তফা কেন? হাজার টাকার দামি পোষাক না পরে ওখান থেকে কিছু তাদের সাহায্য করিআমরা ভেবেছি ক্যামেরার সামনে গরীবদের নিয়ে প্রতিবেদন দেখিয়ে তাদের প্রতি সহানুভুতি করছিকিন্তু না, এতে সহানুভুতিটা প্রমান হয়নাপ্রমান হয় বাংলাদেশের ধনীরা সার্থপরতারা প্রমান করতে চায় তাদের মুখের মহানুভবতাএটাকে কি মহানুভবতা বলে? না এটা কে উপহাস বলেউপস্থাপক উপস্থাপিকারা উপস্থাপনা করে যাতে গরীবের এই দুঃখটা ধনীদের চোখে পড়েকিন্তু তারা জানেনা সম্পদের লোভে ধনীদের চোখে পর্দা পড়ে গেছেতারা মুখ দিয়েই শুধু আফসোস করবেতারা শুধুমাত্র মুখের ব্যবহার করবে, কিন্তু ন্তরের ব্যবহার করবে নাআমি সুদূরে যাবনা, আমি আমার বাংলাদেশের কথাই বলিএই সমাজে কেউ কোটিপতি আবার কেউ শূন্যপতি, যাকে বলা হয় এক কথায় নিঃস্বকেন এত বড় উচ্চ তফা? একজন কোটিপতির যদি মাসে দশ লক্ষ টাকা আয় হয়এবং সে যদি ঐ টাকা থেকে তার একজন গরীব কর্মচারীকে পঞ্চাশ হাজার টাকা দেয়তবে পরের দিন সেই গরীব কর্মচারী আর গরীব থাকবে নাআর শুধুমাত্র এই ব্যবস্থা সম্ভব হবে যাকাত প্রথা চালু করার মাধ্যমে

এত কিছু পরখ করে বুঝা যায় বাংলাদেশের ধনীদের শুধু ধন আছে মন নাআর যে ধনীর ধন আছে কিন্তু মন নাই, সে প্রকৃতপক্ষে অভাবমুক্ত নয়শুধুমাত্র যাকাত প্রথা চালুর মাধ্যমেই আমরা রোজার শিক্ষাকে কাজে লাগাতে পারব এবং প্রকৃত ঈদের আনন্দটাকে সবাই মিলে অনুভব করতে পারব

My some tale or fable

I am Sufia. We are three sister and one brother. My two sister’s are married. My brother is a unmarried. I have mother and she is a housewife. I have father. But he not lives with us. He lives alone. He not take care us. My family is depend on my brother. My brother is a passed S.S.C in 1994. he can’t study for money. So he is a service holder. He is a garments employee. At present, we are three members in my family. My mother my brother and me. I passed my H.S.C from Jesshor board in 2004. I can’t study for illness. I was suffer illness in 4 years. Now the more then one well. But now I can’t study for money. So now I student of “Nari Jibon”. I am taking course English spoken and computer office program here. And I am also Blog student of “Nari Jibon Blog”. I can’t any help my brother. But why? I want to help my brother. Because, my brother is a very hard worker for my family. But then he is not unhappy. He is very happy about us. But what is happy my mother now? Because, my mother was many hard ship whole life. My mother no get to help happiness from my father. But I think my mother is a very happy now. My family is a new clear family. I proud for my mother and I proud for my brother. I am very happy. I love my mother and brother. I pray god bless my mother and brother.